ধ্বজভঙ্গ রোগ কি?
ধ্বজভঙ্গ রোগ নির্ণয়ঃ
নিম্নের বিষয়
গুলি মানলে ধ্বজভঙ্গ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।,
- হস্তমৈথুন কমিয়ে ফেলা বা বন্ধ।
- ব্যায়াম।
- পর্নগ্রাফী এড়িয়ে যাওয়া।
- নতুন কোন শখের দিকে আগ্রহী।
- বন্ধুত্ব পূর্ণ সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি।
- বিছানায় যাওয়ার আগে উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করা ।
- কোন পর্নগ্রাফী দেখবেন না শোয়ার আগে বা শোয়ার সময়।
- ঢিলাঢালা রাতের পোশাক পড়া
- দুঃশ্চিন্তা কমাবেন এবং মেডিটেড করবেন।
- পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রাম নেবেন।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যখাবেন।
- ধুমপান অভ্যাস থাকলে তা ধুমপান পরিহার করুন আস্তে আস্তে।
বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুন।
পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের লক্ষণভিত্তিক
আলোচনাঃ
১)ক্যালেডিয়ম (Caladium
Seg)ঃ- বহু দিন পর্যন্ত স্বপ্ন দোষ হইতে হইতে পরিশেষে
রাটভঙ্গ,
ঘুমের মধ্যে বার বার লিঙ্গ উত্থান। ঘুম থেকে জাগিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে
পড়ে। স্ত্রী সহবাসে ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন। সহবাস কালে লিঙ্গ শক্ত
হয় না। যদিও সামান্য হয় অল্পতেই বীর্যপাত হইয়া যায়। এই সব ক্ষেত্রে ইহা অব্যর্থ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি (০১০ খোঁটা করে সামান্য জলের সঙ্গে প্রতাহ তিন বার। 1x, 2x, বা 3x ও উপকারী।
২)লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium)ঃ হস্তমৈথুন স্বপ্ন দোষ কিংবা অত্যধিক স্ত্রী সহবাস জনিত, প্রয়াতঙ্গ, হাঁ সহবাসের হাম্মা প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন, লিঙ্গ শিথিল, ছোট, স্ত্রী লইয়া সোহাগ আলিঙ্গন করিলেও লিঙ্গ উত্থান হয় না। যদিও কিছু হয় পরক্ষণেই শিথিল হইয়া পড়ে। ক্ষনস্থায়ী সহবাস, বৃদ্ধ বয়সে লজভঙ্গ পীড়ায় ইহা ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার হইয়াছে।
সেবন বিধিঃ শক্তি 200,
1m আরো উচ্চ শক্তি অধিক ফল দায়ক। সপ্তাহ বা পক্ষকাল অন্তর সকাল
বিকাল দুই বার।
৩)সেলিনিয়ম (Selenium): এই ঔষধটি শুক্র তারল্য বা ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় সুনামের সহিত ব্যবহার হইতেছে। চলিতে ফিরিতে পায়খানায় বসিয়া কোঁথ দিলে বীর্যপাত হইয়া যায়। অসাড়ে রেতপাত হইয়া রোগী জীর্ণ শীর্ণ দুর্বল হইয়া পড়ে। চোখ, মুখ বসিয়া যায়।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 3x, বা ০ প্রত্যহ তিন বার। 30,
200 ও উপকারী।
৪) কোনিয়াম (Conium):-স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত অধিক কিন্তু সহবাসে অক্ষম। স্ত্রী লোক দেখিলে, কাছে বসিলে, এমনকি মনে মনে ভাবিলেও বীর্যপাত হইয়া যায়। সহবাস কালে যদিও লিঙ্গ উত্থান হয়। সোহাগ আলিঙ্গনের সময় শিথিল হইয়া পড়ে। ইচ্ছা ও হয়, শক্তিও আছে, তবুও যাহারা অধিক দিন কাম রিপু দমন করিয়া রাখে তাহাদের ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় কোনিয়াম অব্যর্থ মহোঔষধ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 200, Im আরো উচ্চ শক্তি ২-৪
মাত্রাই উপকার হয়।
৫)এগনাস ক্যাষ্ট (Agnus Castus):- অবৈধভাবে বীর্যক্ষয় করিয়া কিংবা যাহারা বারংবার প্রমেহ রোগে আক্রান্ত হইয়া ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া পড়িয়াছে। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল থাকা সত্বেও ক্ষমতাহীন। আবার কাহারো সঙ্গম ইচ্ছা থাকেনা। লিঙ্গ শিথিল, ঠান্ডা, আকারে একেবারে ছোট, বাঁকা এই ঔষধ তাহাদের জন্য অতি মূল্যবান।
সেবন বিধিঃ- শক্তি Q বা 3x ৬
ফোঁটা করে অর্ধ ছটাক জলের সাথে প্রত্যহ চার বার।
৬)এনাকার্ডিয়াম (Anacardium):- স্মরণশক্তিহীন রোগীদের বাহ্যি প্রস্রাব কালীন অথবা অন্য কোন প্রকারে বীর্যপাত হইয়া ধ্বজভঙ্গ পীড়া হইলে এনাকার্ডিয়াম অব্যর্থ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 12
প্রত্যহ সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা।
৭)এভেনা স্যাট (Avena
Sat)ঃ হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত
স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতা ও ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় ইহা ব্যবহার হয়।
সেবন বিধি:- শক্তি ০ ১০/১৫ এক ছটাক
গরম জলসহ প্রত্যহ সকাল বিকাল দুই বার।।
৮)ফসফরাস (Phosphorus): সুন্দর, লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক তীক্ষ্ণ বুদ্ধি কোমল মন সামান্য কারণে মনে ব্যথা। কোল কুঁজো, হাঁটিতে সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতু রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারণে ধ্বজভঙ্গ। সঙ্গম ইচ্ছা খুব প্রবল কিন্তু ভালভাবে লিঙ্গ উত্থান হয় না। যদিও হয় সহবাস কালীন লিঙ্গ শিথিল হইয়া পরে। ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অমোঘ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 200
বা Im সকাল বিকাল দুই মাত্রা।
৯)ট্রিবিউলাস (Tribulus): শরীরে যখন যৌবন আসিতে আরম্ভ করে কামকাতুরা হইয়া নিজ দেহের উপর অত্যচার শুরু করে হস্তমৈথুন, স্বপ্ন দোষ বা অন্য কোন অবৈধ ভাবে শুক্রক্ষয় করিয়া জননেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা আংশিক ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় আক্রান্ত হয় তখন এই ঔষধের (১) ১০ ফোঁটা সামান্য জলসহ দিনে তিন বার সেবনে উপাকার হয়।
১০)মসকাস (Moschus): বহুমূত্র রোগী অত্যন্ত জীর্ণ শীর্ণ হইয়া অকালে বৃদ্ধের মত হইয়া পড়ে, রমন ইচ্ছা প্রবল, কিন্তু ক্ষমতাহীন, লিঙ্গ উত্থান কিছু হইয়া বীর্যপাত হইয়া যায়। বহুমূত্র রোগী ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় মসকাম একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা।
১১) মেডোরিনাম (Medorrhinum):- গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হইয়া ইনজেকশক দ্বারা চিকিৎসা করাইয়া গনরিয়া রোগ চাপা দেওয়ার ফলে ধ্বজভঙ্গ পীড়া হইলে প্রথমেই মেডোরিনাম দ্বারা চিকিৎসা আরম্ভ করিয়া পরে লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করিলে রোগী আরোগ্য হয়।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 200,
1m বা আরো উচ্চ শক্তি দুই মাত্রা।
বিঃদ্রঃ অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুন।
যৌন রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শে জন্যে যোগাযোগ করতে পারেনঃ
ডাঃসামসুল হক
ডি এইচ এম এস(বিএইচবি)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল
কলেজ ও হাসপাতাল,ঢাকা।
বাসা-১৬,রোড-১২/বি,সেক্টর-১০,উত্তরা,ঢাকা.
Mobile: 0153 458 8941 (What’s
app)
(অনলাইনে
ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগের সেবা দেওয়া হয়)
No comments:
Post a Comment