অনেকটা পটলের মতো দেখতে ‘তেলাকুচা’ গাছটি বহু ভেষজগুণ সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ ।‘তেলাকুচা’ অঞ্চল ভেদে
একে কুচিলা, তেলা, তেলাকুচ,
তেলাহচিসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
তেলাকুচা গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস,
জন্ডিস, পা ফোলা রোগ, শ্বাসকষ্ট, কাশি, স্তনে
দুধ স্বল্পতা, ফোঁড়া ও ব্রণ, আমাশয়,
মাথা ঠাণ্ডা রাখা এবং অরুচির রোগের ক্ষেত্রে তেলাকুচা গাছের
উপকরণ রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার।
গ্রামে তেলাকুচার পাতার রস মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করে
ডায়াবেটিস রোগে ‘তেলাকুচা’ ব্যবহারঃ
যেহেতু তেলাকুঁচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ থায়ামিন থাকে।
থায়ামিন কার্বহাইড্রেট গ্লুকোজে পরিণত করতে সাহায্য করে।, তাই এটি পরিপাক সহায়ক।এটি প্রোটিন এবং চর্বি ভাঙতেও
সহযোগিতা করে। বেঙ্গালোরের একদল ডাক্তার গবেষণা করে বের
করেছেন, এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ। তেলাকুঁচো প্রাকৃতিক ইনসুলিন
হিসেবে কাজ করে।
যেভাবে খাওয়া হয়ঃ
কাঁচা
ফল তরকারী হিসেবে খাওয়া যায়, পাতা শাক হিসেবে ভেজে খাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা ফল এবং
কচি পাতা দিয়ে সুপ এবং
সালাদ তৈরি করা হয়।কাঁচা ফল পটলের মত চিরে দুইভাগ করে ভেজে খাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment