ad click

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক ঔষধঃ

বর্তমানে অনেকেই ডায়াবেটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক চিকিৎসার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী । রোগীদের এ আগ্রহের কারণেই সারাবিশ্বেই এ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসার নানা ঔষধ ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে। নিচে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং যেগুলোর কার্যকারিতা গবেষণাগারেও প্রমাণিত হয়েছে এবং বিভিন্ন জার্নালেও তা প্রকাশিত হয়েছে।
 Video editing/ edit video ,please visit
 http://bit.ly/32QwYc3

 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজঃ ম্যাক্রোবায়োটিক পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শিল্পা অরোরা জানাচ্ছেন,"ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ খুবই উপকারী। ফল ও বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজও রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। জাম খাওয়া উপকারী। বীজগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যেভাবে খাওয়া হয়ঃ বর্ষাকালে জাম প্রচুর পাওয়া যায়। এই ফলের উপকারিতা সকলের হয়তো জানা নেই। এই ফলে প্রচুর আয়রণ আছে। জামের বিচি শুকিয়ে মিহি পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নেবেন। প্রতিদিন এ্‌ই পাউডার অসুখের গুরুত্ব অনুযায়ী খালি পেটে তিন থেকে চার বার করে ১-২ চা চামচ মাত্রায় পানির সঙ্গে মিশিয়ে দশ থেকে পনেরো দিন খেলে অসুখ কমবে এবং রোগী দু মাসে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তেলাকুচাঃ আকৃতিতে পটলের মতো দেখতে ‘তেলাকুচা’ গাছটি বহু ভেষজগুণ সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ । ‘তেলাকুচা’ অঞ্চল ভেদে একে কুচিলা, তেলা, তেলাকুচ, তেলাহচিসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। তেলাকুচা গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস, জন্ডিস, পা ফোলা রোগ, শ্বাসকষ্ট, কাশি, স্তনে দুধ স্বল্পতা, ফোঁড়া ও ব্রণ, আমাশয়, মাথা ঠাণ্ডা রাখা এবং অরুচির রোগের ক্ষেত্রে তেলাকুচা গাছের উপকরণ রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। গ্রামে তেলাকুচার পাতার রস মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করে তেলাকুচা ব্যবহারঃ যেহেতু তেলাকুঁচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ থায়ামিন থাকে। থায়ামিন কার্বহাইড্রেট গ্লুকোজে পরিণত করতে সাহায্য করে।, তাই এটি পরিপাক সহায়ক।এটি প্রোটিন এবং চর্বি ভাঙতেও সহযোগিতা করে। বেঙ্গালোরের একদল ডাক্তার গবেষণা করে বের করেছেন, এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ। তেলাকুঁচো প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে। যেভাবে খাওয়া হয়ঃ কাঁচা ফল তরকারী হিসেবে খাওয়া যায়, পাতা শাক হিসেবে ভেজে খাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা ফল এবং কচি পাতা দিয়ে সুপ এবং সালাদ তৈরি করা হয়।কাঁচা ফল পটলের মত চিরে দুইভাগ করে ভেজে খাওয়া যায়। রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথিঃ মেথি একটি একটি ভেষজ মৌসুমী গাছ। মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটিই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয়।যুগ যুগ ধরেই মেথির বীজ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মশলা হিসাবেও এটি প্রচুর ব্যবহার হয়।। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান। মেথি থেকে ষ্টেরয়েডের উপাদান তৈরি হয়। এতে থাকে ‘ট্রাইগোনেলিন’, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্নভাবে গ্রহণ করা যায় এটি। যেমন মেথি বীজের গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। কিংবা সারারাত পানিতে ভেজানো বীজ পরদিন খেতে পারেন। রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলাঃ করলা তেতো হলেও অনেকের প্রিয় সবজি। ভর্তা, ভাজি আর তরকারিতে করলার কদর অনেক। মানবস্বাস্থ্যের জন্য এই সবজির উপকারী গুণও কম নয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করলা রাখুন। পুষ্টিবিদদের মতে করলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা হাসিনা আকতারের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত করলা খেলে রোগবালাই থাকে ১০০ হাত দূরে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলোক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লোহা ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। করলায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তের চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন। যেভাবে খাওয়া হয়ঃ প্রতিদিন কম পক্ষে এক গ্লাস করে করলার রস তিন বেলা পান করুন।এতে রক্তের সুগারের মাত্রা কমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়সঃ ভোজ্য আঁশে ভরপুর এই সবজি রক্তে শর্করার মাত্রার ভারসাম্য এবং ইন্সুলিনের উৎপাদন ও নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। এর বীজে আছে ‘আলফা-গ্লুকোসিডেইস ইনহিবিটর’, যা স্টার্চ বা শ্বেতসারকে শর্করায় পরিণত হতে বাধা দেয়। রান্না করে খাওয়া তো যায়ই, চাইলে কাঁচা-ঢেড়স ফালি করে কেটে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানিটুকু পান করতে পারেন। রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুচিনিঃ দারুচিনি তেল বা পাউডার আকারে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ৪৮%! গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, দারুচিনির আছে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমিয়ে আনার প্রাকৃতিক সক্ষমতা। আর এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে কমিয়ে আনতে পারলে রক্তে সুগারের মাত্রাও নি Video editing/ edit video ,please visit http://bit.ly/32QwYc3 ডুমুরের পাতা: স্পেনের গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে ডুমুরের পাতার চা খেলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক রোগীদের দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা ১২% কমে যায় মাত্র এক মাসে। এছাড়াও ডুমুর পাতার চা পানে রক্তে ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডুমুরের পাতার পলিফেনল হুবহু ইনসুলিনের মতো কাজ করে। আধা লিটার পানিতে ২ টেবিল চামচ শুকনা ডুমুরের পাতার গুড়া ছেড়ে দিন। এরপর ১৫মিনিট বা তার অধিক সময় ধরে ফুটান যাতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়।এখন এই চা পান করুন নাস্তার সাথে। উপরোক্ত ঔষধ গুলি কবিরাজি বা বানিয়াতি দোকানে পাউডার আকারে কিনতে পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস হলে অব্যশ্যই ডাক্তারে পরামর্শে ঔষধ খাবেন।
Share:

No comments:

Post a Comment

Recent Posts

Featured Post

Facebook page promotion

   Facebook page promotion https://www.fiverr.com/share/o8b0EA Facebook page promotion

Contact Form

Name

Email *

Message *

Donate a little amount for encouraging to me

Video editing/ edit video

slider

Recent Posts

3/recent/post-list

Pages